শ্রীলঙ্কার দেয়া ২৫৮ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু পেয়েছিল বাংলাদেশ দল। নাঈম শেখ-মিরাজ ওপেনিং জুটিতে সংগ্রহ করেন ৫৫ রান। ব্যাট হাতে তাওহীদ হৃদয় খেলেন ৮২ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। তবুও সাকিব-লিটনদের ব্যাটিং ব্যর্থতায় লঙ্কানদের দেয়া ২৫৮ রান তাড়া করতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ।

শ্রীলঙ্কার বোলারদের বোলিং নৈপুণ্যে ২৩৬ রানে বাংলাদেশ গুটিয়ে গেলে ২১ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে শানাকা-পাথিরানারা। এর আগে, নিজেদের প্রথম ম্যাচেও পাকিস্তানের কাছে হেরেছিল সাকিবরা।

শ্রীলঙ্কার দেয়া ২৫৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটিতে নাঈম শেখ ও মিরাজ ৫৫ রান তুলেন। এরপর দ্রুত ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ।

শুরুর সেই চাপ সামলে পঞ্চম উইকেটে মুশফিকুর রহিম ও তাওহীদ হৃদয় গড়েন ৭২ রানের জুটি। ৪৮ বলে ২৯ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরেন মুশফিক। শামীমও এদিন ব্যাট হাতে ছিলেন ব্যর্থ। ১০ বলে ৫ রান করে আউট হন তিনি। তবে, একপ্রান্ত আগলে রেখে লড়ে যান হৃদয়। ৯৭ বলে ৮২ রানের ইনিংস খেলে মহেশ থিকশানার এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন তিনি। এরপর হাসান মাহমুদের ১০ ও নাসুম আহমেদের ১৫ রান কেবলই পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়েছে।

এর আগে, শ্রীলঙ্কার প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। শুরু থেকেই লঙ্কান ব্যাটারদের চাপে রাখেন তাসকিন ও শরীফুল। এই দুই পেসার উইকেট না পেলেও টাইগারদের প্রথম সাফল্য এনে দেন হাসান মাহমুদ। নিজের করা দ্বিতীয় ওভারেই দিমুথ করুনারত্নের উইকেট তুলে নেন হাসান। ১৭ বলে ১৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি।

করুনারত্নের বিদায়ের পর উইকেটে বেশ ভালোভাবেই থিতু হয়ে যান পাথুম নিশাঙ্কা এবং কুশাল মেন্ডিস। এই দুই ব্যাটারের জুটি ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগে ভাঙতে সক্ষম হন পেসার শরীফুল। ২৪তম ওভারের দ্বিতীয় বলে শরীফুলের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে আউট হন নিশাঙ্কা। এরপর হাফ সেঞ্চুরি করা কুশাল মেন্ডিসকেও ফেরান তিনি। শরীফুলের জোড়া আঘাতের পর উইকেট শিকারে মাতেন তাসকিনও।

১৬৪ রানে ৫ উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কাকে ম্যাচে ফেরান সাদিরা সামারাবিক্রমা এবং শানাকা। এই দুই ব্যাটারের ব্যাট থেকে আসে ৬০ রানের জুটি। শেষ পর্যন্ত সামারাবিক্রমার ব্যাটে ভর করে ৯ উইকেটে ২৫৭ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। তাসকিন আহমেদ আর হাসান মাহমুদ নেন ৩টি করে উইকেট।